Sumon Mussalli

HEALTH and CARE
রক্তদানের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় জানা জরুরি

রক্তদানের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় জানা জরুরি

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রায় সময় চোখে পড়ে একটি বাক্য। সেটি হলো – ‘এক ব্যাগ রক্তদানে বাঁচবে একটি প্রাণ’। সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড বা জটিল কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হতে পারে রক্তের। মানবিক মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত অন্যের বিপদে সহযোগিতা করা। কারণ আপনার দেওয়া এক ব্যাগ রক্তে বেঁচে যেতে পারে একজন মুমূর্ষু রোগীর জীবন।

রক্তদানে মানসিক প্রশান্তিও আসে। একবার ভেবে দেখুন, আপনার দেওয়া রক্তে আরেকজন মানুষ আগের মতো হাঁটবেন, প্রাণভরে নিশ্বাস নেবেন। শারীরিকভাবে সুস্থ মানুষ প্রতি চার মাস পর পর রক্তদান করতে পারেন। এতে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। রক্তদানের সময় দাতার রক্তে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, সিফিলিস এবং ম্যালেরিয়াল পরজীবীর উপস্থিতি আছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়।  

জানা জরুরি

১. শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নারী ও পুরুষ উভয়েই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর রক্ত দিতে সক্ষম।

২. রক্তদাতা আগে কখনো যদি অরক্ষিত রক্ত গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তার রক্তদান থেকে বিরত থাকা উচিত।

৩. অনেকে শিরার মাধ্যমে শরীরে নেশাযুক্ত ওষুধ নিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে রক্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

রক্তদানে উপকারিতা

১. একজন মানুষের বেঁচে থাকা নিশ্চিত হবে।

২. রক্তদানে দাতার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। ফলে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

৩. এতে রক্তদাতার হৃদযন্ত্র ভালো থাকে এবং তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন।

৪. রক্তদানের সময়  রক্তদাতার রক্তে অন্য কোনো জীবাণুর উপস্থিতি আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জেনে নেওয়া হয়। এতে রক্তদাতা খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন কোনো সংক্রামক রোগে ভুগছেন কি না। এই প্রক্রিয়ায় রক্তদাতার প্লাটিলেটের সংখ্যাও জানতে পারা যায়।

৫. রক্তদানে শরীরের ফ্রি রেডিকেলসের পরিমাণ কমে যায়। এতে রক্তদাতার বার্ধক্যজনিত জটিলতা কিছুটা দেরিতে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

৬. রক্তদানে যে ক্যালরি শেষ হয়, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Author

Sumonmussalli

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *